সাকিব একটি এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া পাননি আম্পায়ার ইমরান পারভেজের কাছ থেকে। সাকিব আল হাসান তাতেই হারিয়ে বসলেন মেজাজ। বিতণ্ডায় জড়ালেন, লাথি দিয়ে ভাঙলেন স্টাম্প।সাকিব যদিও আগে মাঠে অনেক বার মেজাজ হারিয়েছেন তবে লাথি মেরে স্টাম্প ভাঙ্গা এবারই প্রথম।

আজ ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে মুখোমুখি হয়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং। সময়ের ফেরে আবাহনী–মোহামেডান ক্রিকেট দ্বৈরথ রঙ হারালেও সাকিবের কল্যাণে আজ অতীতের উত্তেজনা ফিরল মাঠে। যদিও লাথি মেরে স্টাম্প ভাঙার মতো ঘটনা অতীতে কখনো ঘটেছে কিনা, সেটি গবেষণার বিষয়।
আবার ও মাঠে মেজাজ হারালেন সাকিব লাথি মেরে ভাঙলেন স্টাম্প
লক্ষ্য ১৪৬ রানের। শেরে বাংলায় ৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে ধুঁকছে আবাহনী। নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহীম দলকে বিপদ থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করছেন।
পঞ্চম ওভারে বল হাতে তুলে নেন সাকিব আল হাসান। মোহামেডানের তখন ৩ উইকেটে ২১ রান। ওভারের শেষ বলটিই আঘাত হানে আবাহনী অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম প্যাডে। সাকিব এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেন, কিন্তু আম্পায়ার ইমরান পারভেজ রিপন তাতে অনড়।
আম্পায়ার আউট না-ই দিতে পারেন, তার সেই এখতিয়ার আছে। কিন্তু সাকিব এরপর যে কাণ্ড ঘটান, তাতে সবাই হতবাক। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট মোহামেডান অধিনায়ক রাগে-ক্ষোভে উইকেটে লাথি মেরে ননস্ট্রাইকের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন।
ওই ওভারেই সাকিবের প্রথম ৫ ডেলিভারির মধ্যে প্রথমে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে, পরে ব্যাক ফুটে স্কোয়ার কাট করে পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন মুশফিক।
স্বাভাবিকভাবেই সাকিব বেশ চাপে ছিলেন। শেষ বলটি প্যাডে লাগায় তাই আউট নিতে মরিয়া হয়ে উঠেন। তাই বলে এমন ব্যবহার!
শুধু উইকেট ভেঙেই ক্ষান্ত হননি সাকিব। আম্পায়ারের দিকে রাগত স্বরে তাকিয়ে কিছু বলতে দেখা যায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে। মাঠে দায়িত্বরত আম্পায়ারকে চোখ রাঙাচ্ছিলেন।
এ তো গেল আউটের ঘটনা। এরপর আরো এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন সাকিব। ষষ্ঠ ওভারের পাঁচ বল হওয়ার পর বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধের ডাক দেন আম্পায়ার। সেই সিদ্ধান্তও মনঃপুত হয়নি মোহামেডান অধিনায়কের।
মিড-অন থেকে দৌড়ে এসে তিনটি স্টাম্প তুলে মাটিতে আছাড় মেরে বসেন সাকিব। ভাবভঙ্গিমায় মনে হচ্ছিল, খেলা বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তও মানতে পারছেন না।
অথচ ৫.৫ ওভারের সময় খেলা যখন থেমেছে, ডাকওয়ার্থ লুইসে আবাহনীর দরকার ৪৭ রান। তারা করেছে ৩ উইকেটে ৩১। নতুন করে খেলা শুরু না হলে মোহামেডানেরই জেতার কথা। তবু সাকিব কেন এমন করলেন? মনে হচ্ছিল, মেজাজটা কোনো কারণে এমনিই বিগড়ে ছিল তার।
আম্পায়াররা যখন খেলা বন্ধ করেছেন, বৃষ্টি তখনো এক ফোঁটা পড়েনি। তবে আকাশ মেঘে কালো হয়ে ছিল। বৃষ্টি শুরু না হওয়াতেই খেলা বন্ধ কেন? সাকিব বোধ হয় সেটাই মেনে নিতে পারেননি।
সাকিবের এমন সব বিতর্কে জড়িয়ে পড়া নতুন কিছু নয়। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তার আগে আবারো নতুন কাণ্ড ঘটালেন! এখন কি শাস্তির মুখে পড়েন, সেটাই দেখার!
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। প্রতিদিনের আপডেট পেতে আমাদের Facebook লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন।
ধন্যবাদ।