কম বয়সে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা এখন অনেকেই ভুগে থাকেন । বয়সের আগেই চুল পেকে যেতে পারে অনেক কারণে। জিনগত কারণে যেমন অল্প বয়সে চুল পেকে যায়, তেমনি খাওয়া দাওয়ার অনিয়ম ও দুশ্চিন্তাও পাকা চুলের জন্য দায়ী। তাই শরীরের পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার, শাকসবজি বেশি খাওয়ার বিকল্প নেই ।
আর সেই পাকা চুল কালো করতে অনেকেই বাজারের হেয়ার কালার ব্যবহার করার সিদ্ধান্তই নেন। এতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক থেকে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যায়। তবে পাকা চুল নিয়ে দুঃখ না করে এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কাজে লাগান কিছু অব্যর্থ ঘরোয়া প্রতিকার।

কম বয়সে চুল পেকে যাচ্ছে ? জেনে নিন টোটকা
নারকেল তেল
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালো করে চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করুন। পরদিন সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহার করুন এভাবে।
আদা
প্রতিদিন আদা খেলে চুল পাকবে না। ১ চা চামচ আদা কুচি ১ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান।
আমলকী
প্রতিদিন আমলকী খেলেও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। আমলকী চিবিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি খেতে পারেন জুস। সপ্তাহে একবার চুলে আমলা তেল লাগালেও কাজ হবে।
ঘি
ঘি চুলে লাগালে চুল সাদা হবে না। সপ্তাহে দুইবার ঘি দিয়ে চুলের গোড়া ম্যাসাজ করুন।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজের রস চুল ভালো রাখার পাশাপাশি চুল পাকতে দেয় না। সপ্তাহে দুইবার চুলের গোড়ায় পেঁয়াজের রস ভালোভাবে ঘষুন। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
গাজরের রস
পাকা চুলের সমস্যা দূর করতে দারুণ কাজ করে গাজর।
কারি পাতা
চুল পেকে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারে কারি পাতা। ১/৪ কাপ কারি পাতার পেস্ট ও আধা কাপ দই একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। ৩০ মিনিট রেখে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আমন্ড অয়েল
সমপরিমাণ আমন্ড তেল, লেবুর রস ও আমলকীর রস চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ম্যাসাজ করুন। আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। প্রতিদিনের আপডেট পেতে আমাদের Facebook লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন।
ধন্যবাদ।