একেই বোধহয় বলে ক্রিকেট।কে এল রাহুল যেন পঞ্জাবি তুফান যেখানে একদিকে ব্যাট হাতে নিজের দলের সামনে উদাহরণ হয়ে দাঁড়ালেন কে এল রাহুল, সেখানে অন্যদিকে ক্যাচ ফেলে, বাজে আউট হয়ে দলের মেরুদণ্ডই যেন ভেঙে দিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাই ফল যা হওয়ার তাই হল।

কে এল রাহুল যেন পঞ্জাবি তুফান
ম্যাচে সহজ জয় পেল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। এই দুপাশের দুই ছবিই নির্ধারণ করে দিল খেলার ফলাফল।টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে হলেও ব্যাঙ্গালোরের সামনে বিশাল রানের টার্গেট রাখে পঞ্জাব৷ সৌজন্যে অধিনায়ক কে এল রাহুলের অনবদ্য ইনিংস৷ মাত্র ৬৯ বলে ১৩২ রানে অপরাজিত থাকেন পঞ্জাব অধিনায়ক৷ এটাই আইপিএল-এর ইতিহাসে কোনও ভারতীয়ের সর্বোচ্চ স্কোর৷ এ দিন ময়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন রাহুল৷ পাওয়ার প্লে-র প্রথম ৬ ওভারেই ৫০ রান তুলে ফেলে পঞ্জাব৷ এর পর চহালের বলে ময়াঙ্ক ফিরলেও দলকে টেনে নিয়ে যান রাহুল৷ মাত্র ৩৬ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি৷ ৬২ বলে ১০০-য় পৌঁছন রাহুল৷ নির্ধারিত ২০ ওভারে ২০৬ তোলে পঞ্জাব৷
এ দিন সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ড ভেঙে আইপিএল-এর দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০০০ রান পূর্ণ করেন রাহুল৷ মাত্র ৬০ ইনিংসে এই নজির গড়েন রাহুল৷ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে এই নজির গড়তে সচিন নিয়েছিলেন ৬৩ ইনিংস৷ এ দিন অবশ্য দু’ বার রাহুলের ক্যাচ ফস্কান ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক বিরাট কোহলি৷ তার মধ্যে দ্বিতীয় ক্যাচটি হয়তো অন্য সময়ে ১০ বারের মধ্যে ১০ বারই ধরবেন বিরাট৷ কিন্তু এ দিনটাই যেন ছিল রাহুলের জন্য৷এ দিনও কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে টসে জিতে বোলিংয়েরই সিদ্ধান্ত নিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক বিরাট কোহলি৷ প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়ায় এ দিন দলে কোনও পরিবর্তন করেনি বিরাট কোহলির ব্যাঙ্গালোর৷ অন্যদিকে পঞ্জাব দলে দু’টি পরিবর্তন করেছে৷ দলে এসেছেন জিমি নিশাম এবং মুরুগান অশ্বিন৷ তবে আইপিএল-এর ইতিহাস খতিয়ে দেখলে এই দুই দলের মধ্যে সমানে সমানে টক্কর হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত ২৪ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল৷ এখনও পর্যন্ত দুই দলই ১২ বার করে জিতেছে৷ তবে শেষ পাঁচটি সাক্ষাতে চার বারই জিতেছে ব্যাঙ্গালোর৷
রাহুলের সামনে এ দিন ব্যাঙ্গালোরের সব বোলারকেই সাদামাটা লেগেছে৷ একমাত্র যুজবেন্দ্র চহাল এবং শিবম মাভি কিছুটা রানের গতি কমাতে সফল হন৷২০৭ রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই নড়বড় করতে শুরু করে ব্যাঙ্গোলেরের। প্রথম ওভারেই পাডিক্কল ফিরে যান কর্টরেলের বলে। আগের ম্যাচে ভাল খেললেও এই ম্যাচে হতাশ করেন তিনি। পরের ওভারে শামির পলে ফেরেন ফিলিপ। ২ ওভার শেষে ৪ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ব্যাঙ্গালোর। পরের ওভারেই ফেরেন কোহলি। মাত্র ১ রানে। কার্টরেলের বল পুল করতে গিয়ে ব্যাটের তলার দিকে লাগে। সহজ ক্যাচ ধরেন রবি বিষ্ণোই। সব মিলিয়ে একাধিক ক্যাচ ফেলার পর ব্যাটেও চরম ব্যর্থ কোহলি। পরের ওভারেই শামির বলে ফিঞ্চের বিরুদ্ধে তীব্র আবেদন ওঠে। কিন্তু রিভিউতে বেঁচে যান ফিঞ্চ। তারপরেই খেলা ধরে নেন তিনি। একদিকে ডেভিলিয়ার্স, অন্যদিকে ফিঞ্চ খেলাটা এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। যদিও জয়ের থেকে তখনও অনেক দূরে ব্যাঙ্গালোর। তবু, মাঝেই দু’একটা বড় শট একটু একটু করে খেলায় ফেরাতে থাকে বিরাট ব্রিগেডকে। কিন্তু ছন্দপতন ঘটান রবি বিষ্ণোয়। ফিঞ্চকে ফেরান তিনি। অ্যারন ফিঞ্চ ফেরার পর আরও সংকটে পড়ে ব্যাঙ্গালুর। এরপরেই ডেভিলিয়ার্স ফেরেন ২৮ রানে। দলের স্কোর তখন ৫৭। আট ওভারের মাথায় পাঁচ উইকেট হারিয়ে ম্যাচে হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে পড়ে বিরাটের দলের। এরপর নিয়মিত হারে উইকেট পড়তে থাকে। ম্যাক্সওয়েল ফেরান শিবম দুবেকে। ৮৩ রানের মাথায় পরে ষষ্ঠ উইকেট। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে বেঙ্গালুরুর। শেষে ১০৯ রানে শেষ হয় ইনিংস। ৯৭ রানে হারে বেঙ্গালুরু।
রেফারেন্স : https://bengali.news18.com
আরো কিছু পোস্ট আপনার জন্য প্রয়োজনে দেখতে পারেন
চূড়ান্ত ধাপের কোভিড-১৯-এর টিকা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত
পূবালী ব্যাংক লিমিটেডে নিয়োগ দেওয়া হবে
করোনাভাইরাস মহামারিতে ভ্যাকসিনের দিকেই তাকিয়ে আছে সারাবিশ্ব
করোনাভাইরাস মহামারিতে ভ্যাকসিনের দিকেই তাকিয়ে আছে সারাবিশ্ব
করোনামুক্ত হয়েও শেষরক্ষা হল না এসপি বালাসুব্রহ্মণ্যম
আমাদের প্রদত্ত কনটেন্ট যদি আপনার ভালো লাগে, তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।
প্রতিদিনের আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন।
ধন্যবাদ।