এটা যেন কমবেশি সকলেরই সমস্যা, ঘরে এত ধুলো জমে যে পরিষ্কার করতে করতেই নাজেহাল। কার এত সময় আছে যে রোজ রোজ ধুলো পরিষ্কার করবেন? আর রোজ পরিষ্কার করেও তো লাভ হয় না। কয়েক ঘণ্টা পরই যেন আবারও ধুলো জমে। তাহলে উপায়? উপায় হচ্ছে ঘরে ধুলো জমতে না দেয়া। চলুন, জেনে নিই ৭টি টিপস, যেগুলো প্রয়োগ করলে ঘরে সহজে ধুলো জমবে না। খুব সহজেই আপনি পাবেন ধুলোবালি হতে মুক্তি।

ঘরে ধুলো কম করার ৭টি দারুণ কৌশল!
ভারী ডোর ম্যাট:
গৃহে প্রবেশের প্রত্যেক দরজার সামনে ভারী ডোর ম্যাট রাখুন, যেগুলো অধিক শোষণ করতে পারে। বাইরের কোন যেন ভেতরে প্রবেশের সুযোগ না পায়।
মাইক্রো ফাইবার কাপড়:
ধুলো পরিষ্কারের জন্য সঠিক কাপড় ব্যবহার করে জরুরী। সাধারণত আমরা এমন কাপড় ব্যবহার করি, যা কেবল ধুলোকে এক স্থান হতে অন্য স্থানে সরিয়ে দেন, সেটাকে পরিষ্কার করে না। কিন্তু মাইক্রো ফাইবার কাপড় ধুলোকে শুষে নেবে, বাতাসে উড়িয়ে দেবে না। ফলে ঘর আসলেই পরিষ্কার হয়ে উঠবে। এমন কাপড় না পেলে ভেজা ন্যাকড়া ব্যবার করুন পরিষ্কারে। এবং তারপর কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন যেন চলে যায়।
ভারী পর্দার ব্যবহার :
জানালায় ভারী পর্দা ব্যবহার করুন যেন বাইরে থেকে আসা শুষে নেয়। পর্দা ধুয়ে নিলেই সাফ।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার হতে পারে বন্ধু :
এখন আর ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের দাম বেশী নয়, অল্প দামেই ভালো ক্লিনার পাওয়া যায়। সপ্তাহে ২ বার ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে ঘর পরিষ্কার করলে বাকি দিনগুলো থাকতে পারবেন ঝকঝকে
এয়ার পিউরিফায়ার:
যাদের ডাস্ট এলারজি আছে, তাঁরা এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন। এতে আপনার ঘর থাকবে শতভাগ মুক্ত।
কার্পেটকে না বলুন:
কার্পেট জিনিসটা মারাত্মক ধুলো তৈরি করে। তাই দেখতে যতই সুন্দর লাগুক না কেন, কার্পেট ব্যবহার করবেন না।
বিশেষ কিছু জানালা-দরজা বন্ধ রাখুন:
যে দরজা বা জানালাটি রাস্তার দিকে বা এমন কোন বাড়ির দিকে যেখানে বালু, সুরকি ইত্যাদির কাজ চলছে , সেগুলো বন্ধ রাখুন। দেখবেন অনেক কম হচ্ছে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। প্রতিদিনের আপডেট পেতে আমাদের Facebook লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন।
ধন্যবাদ।