চুলের যত্নে গ্লিসারিন ব্যবহার করা ছাড়াও ত্বকের যত্নে ও ব্যবহার করা হয়। গ্লিসারিন এর একটি বাড়তি সুবিধা হল এটি যে কোন ঋতুতেই উপযোগী । ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে গ্লিসারিন বেশ কার্যকরী। গ্লিসারিনের তেমন কোনো পাশ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকায়, ত্বক ও চুলের যত্নে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিন।
অতিরিক্ত দূষণের কারণে চুল পড়া, চুল ফাটা ও রুক্ষ-শুষ্ক হওয়ার সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। সফট , কোমল , ঝলমলে ও সিল্কি চুলের জন্য ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিন। চুল সিল্কি ও উজ্জ্বল রাখতে গ্লিসারিন খুব কার্যকর। চুল যদি রুক্ষ হয় তবে গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া এই উপাদানে খুশকি দূর হয়। এজন্য গ্লিসারিনকে করতে পারেন আপনার সঙ্গী। গ্লিসারিন দিয়েই আপনি আপনার রূপচর্চার সবকিছু করতে পারবেন,সঙ্গে রাখতে হবে আরও কিছু উপাদান।
আসুন জেনে নেই শীতে ত্বকের যত্নে গ্লিসারিন কিভাবে ব্যবহার করবেন-

চুলের যত্নে গ্লিসারিন ব্যবহার করার পদ্ধতি জানুন
আগা ফাটা রোধে
মূলত শুষ্কতার কারণেই চুলের আগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। শীতকালে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। ভেজা চুলের আগায় সামান্য গ্লিসারিন লাগিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে গেলেও চুলের ময়েশ্চার লেভেল বজায় থাকবে। ফলে ফাটবে না আগা।
ডিপ কন্ডিশনিং
চুলের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে গ্লিসারিন। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনারের পরিবর্তে গ্লিসারিন চুলে লাগাতে পারেন। খানিকক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল হবে নরম ও ঝলমলে। লিভ-ইন কন্ডিশনার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিন।
খুশকি রুখতে
মাথার ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতার কারণে দেখা দেয় খুশকি। অল্প পরিমাণে গ্লিসারিন হাতে নিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন চুলের গোড়ায়। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
হেয়ার স্প্রে হিসেবে
সমপরিমাণ পানি এবং গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখতে পারেন। চুল অতিরিক্ত রুক্ষ বা শুষ্ক মনে হলে এই মিশ্রণ চুলে স্প্রে করুন।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। প্রতিদিনের আপডেট পেতে আমাদের Facebook লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন।
ধন্যবাদ।