পাইলস রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে অনেকের মাঝে বিভিন্ন মত ভেদ রয়েছে। আর এটি অনেকেই অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করে থাকেন। আবার বিভিন্ন জায়গায় বিনা অপারেশন চিকিৎসা করে থাকে। তবে পাইলস বা অর্শ রোগ আমাদের সকলের কাছে পরিচিত । আর এটি যাদের শরীরের দেখা যায় তাদের মলত্যাগের সময় মাঝে মাঝে রক্ত যায়। আর এটি কে হেমোরয়েডস বলে থাকে। তবে এটি সব সময় একই রকম থাকে না। এটি খাদ্যভাসের উপর অনেক নির্ভর করে। শাক সবজি জাতীয় খাদ্য খেলে পাইলস অনেকটা ভাল থাকে। কিন্তু গরুর মাংস, মসুরুর ডাউল, আরো কিছু খেলে পায়খানা কষা হয় এবং তখন রক্তপাত হয়ে থাকে। আবার কাহারো মাংশপিন্ড ঝুলে পড়ে, ও মলদ্বারের পাশে ফুলে উঠে। অনেকে পাইলস রোগের ঘড়োয়া চিকিৎসা করে থাকেন।

পাইলস রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি জেনে নিন
পাইলস কেন হয়?
আমাদের অনেকের মাঝে এই রোগটি দেখা যায়। কিন্তু শুরুর দিকে এটি থেকে কোন রক্ত পাত হয় না। পাইলস রোগ সাধারনত কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। আমরা প্রথম দিকে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কে তাছিল্য করে উড়িয়ে দিই কিন্তু দীর্ঘদিন এই সমস্যা থাকার কারনে এক সময় মলদ্বার ফুলে যায় এবং পায়খানার সময় প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করে। এই অবস্থা দীর্ঘদিন চলার পরে আস্তে আস্তে মলত্যাগের সময় রক্ত আসা শুরু হয়। তাই প্রথম দিকে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে এটি নিরাময়ের চেষ্টা করুন তাহলে পরবর্তীতে পাইলস রোগ হবে না।
পাইলস রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি
বর্তমান বিশ্বে পাইলস চিকিৎসার জন্য বহু ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। আর এই গুলো হলো – লেজার থেরাপি, আল্ট্রয়েড, রিংলাইগেশন, ইলেকট্রোকোয়াগুলেশন, ইনজেকশন, ইনফ্রারেড ফটোকোয়াগুলেশন, ক্রায়োথেরাপি,তাছাড়াও আছে প্রচলিত অপারেশন ও লগো অপারেশন পদ্ধতি। এই সবগুলো পদ্ধতির মাধ্যমে পাইলস রোগের চিকিৎসা প্রধান করা হয়ে থাকে। তবে এই গুলোর মধ্য থেকে তিনটি পদ্ধতিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব প্রধান করে থাকে। আর এই তিনটির মাধ্যমে চিকিৎসায় বেশি সুফল পাওয়া গেছে। তাই সব কিছু বিবেচনা করে ডাক্তারগণ লংগো অপারেশন ,রিংলাইগেশন, ও প্রচলিত অপারেশন কে বেশি গুরিত্ব প্রধান করে থাকে। আর লংগো অপারেশন এবং রিং লাইগেশনের মাধ্যমে প্রায় ১০০% রোগীর মলদ্বারে কোনো রূপ কাটাছেড়া ছাড়া চিকিৎসা করা সম্ভব। ফলে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা দিন দিন সকলের কাছে জন প্রিয় হয়ে উঠছে। এখানে সবচেয়ে বড় সুবিধা রোগীকে না কাটার কারণে রোগী অল্প দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
পাইলস রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
তাছাড়া এই রোগের জন্য প্রচলিত অপারেশন পদ্ধতি অনেকই বেচে নেন। আর এই পদ্ধতিতে মলদ্বারের তিনটি মাংশ পিন্ড কাটতে হয়। তবে এটি যে সকল রোগীর দ্বারা লংগো অপারেশন এর যন্ত্র কিনতে অক্ষম ও রিং লাইগেশন এর জন্য উপযুক্ত নয় তাদের কেবল প্রচলিত অপারেশন করা হয়। তাছাড়া লেজার দ্বারা অপারেশন করলে এটি অনেটাই প্রচলিত অপারেশনের মত। লেজার অপারেশন করলেও দীর্ঘদিন ঘাঁ শুকাতে লাগে । এতে প্রায় ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে সারতে।
না ঘষে মিনিটের মধ্যেই কাঁঠালের বিচি পরিষ্কার করার দারুণ কৌশল
https://www.latestbangla.com/archives/2946
সুস্থ থাকতে ও নমনীয় ত্বক পেতে নাভির যত্ন নিন
https://www.latestbangla.com/archives/2951
চুলের সঠিক যত্ন নিতে শ্যাম্পু করার আগে মাথায় নারকেল তেলের মালিশ
https://www.latestbangla.com/archives/2957
শরীরচর্চা করার পর যেসব খাবার খাবেন
https://www.latestbangla.com/archives/2961
প্রসাধনীর রাসায়নিক প্রভাব কাটাতে কী করবেন
https://www.latestbangla.com/archives/2966
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। প্রতিদিনের আপডেট পেতে আমাদের Facebook লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন।
ধন্যবাদ।