সুইডেনের বিপক্ষে কাল রাতে স্পেন এর একাদশ দেখেই বোঝা গিয়েছিল, স্পেন পাসের পসরা নয়, সরাসরি আক্রমণ করে ম্যাচ জিততে চায়। আক্রমণভাগে দানি ওলমোর সঙ্গে ফেরান তোরেস ও আলভারো মোরাতা। বক্সে একটু ফাঁকা জায়গা পেলে লুইস আরাগোনাস কিংবা ভিসেন্তে দেল বস্কের গড়া সেই স্পেন আক্রমণভাগের মতো পাস খেলে গোলকিপারকে কাটিয়ে গোল করা নয়, বরং সরাসরি শটে গোল করতে বেশি পারদর্শী তাঁরা।

রেকর্ড পাসের পরেও গোল পেল না স্পেন
মাঝমাঠে সেই জাভি-ইনিয়েস্তাদের ধাঁচের কেউ ছিলেন না। তবে ছিলেন রদ্রি, পেদ্রি ও কোকে। পাসের পর পাস খেলে গোলমুখ খোলার চেয়ে তাঁরা সরাসরি আক্রমণে উঠবেন বলেই ধারণা করা হয়েছিল। কেননা, স্পেন কোচ এনরিকে ‘টিকিটাকা’ থেকে বের হয়ে না এলেও তাঁর এই দল গতিময় প্রতি-আক্রমণে সমান পারদর্শী। কিন্তু কাল কী হলো! স্পেন যে গোলের সুযোগ পায়নি তা নয়, কিন্তু যে পরিমাণ পাস খেলেছে দলটি তাতে এবং তার বিপরীতে গোলশূন্য স্কোরলাইন দেখে বিরক্তি অস্বাভাবিক কিছু নয়।
গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে স্পেনের ম্যাচে পরিচিত চিত্র হলো বল দখল রেখে পাস খেলা। কিন্তু এত পাস খেলেও কাজের কাজ গোল আদায় করে নিতে না পারলে লাভ কী? কাল স্পেন-সুইডেন ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগির পর ঠিক এ প্রশ্নই উঠেছে। পাসের রেকর্ড ভেঙেছে স্পেন, অথচ গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩ পয়েন্ট পেয়ে শুভসূচনাটা আর হয়নি। উল্টো ২ পয়েন্ট হারাতে হয়েছে—কথাটা বলাই যায় কারণ, স্পেনের তুলনায় সুইডেন তেমন শক্তিশালী দল নয়।
স্পেনের ৮৫ শতাংশ সময় বল দখলে রাখার পরিসংখ্যান বলছে, গোটা ম্যাচেই নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছিলেন এনরিকের শিষ্যরা। ওদিকে সুইডেনের অবস্থা ছিল নিজেদের সীমানায় খোলসবন্দী থেকে গোল ঠেকানো। খেলার নানা রকম পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ‘অপটা’ ১৯৮০ সাল থেকে এসব তথ্য সংরক্ষণ শুরুর পর ইউরোয় এই প্রথম কোনো দল ম্যাচের ৮৫ শতাংশ সময় বল দখলে রাখার রেকর্ড গড়ল। শুধু কি তা–ই, প্রথমার্ধে ৪১৯টি পাস খেলেছে স্পেন—ইউরোয় ম্যাচের প্রথমার্ধে এটি সর্বোচ্চ পাস খেলার রেকর্ড।
এই প্রথমার্ধেই প্রতিপক্ষের অর্ধে ৩০৩টি পাস খেলেছে স্পেন। ইউরোয় এটাও ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের অর্ধে সর্বোচ্চ পাস খেলার রেকর্ড। ওদিকে স্পেনের অর্ধে ৩৮ পাস খেলেছে সুইডেন, যা ইউরোয় প্রতিপক্ষের অর্ধে সবচেয়ে কম পাস খেলারও রেকর্ড। সব মিলিয়ে স্পেন এ ম্যাচে ৯১৭ পাস খেলেছে—ইউরোয় এক ম্যাচে সর্বোচ্চ পাস খেলারও নতুন রেকর্ড এটি। স্পেন আসলে নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভেঙেছে। ২০১২ ইউরোয় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৫৯ পাস খেলার রেকর্ড ভাঙল তারা, এর মধ্যে জাভি একাই খেলেছিলেন ১৩৬ পাস।
নয় বছর আগে ইউরোয় সে ম্যাচ ৪-০ গোলে জিতেছিল স্পেন। সেই দলে জাভি, ইনিয়েস্তা, ফার্নান্দো তোরেস, ডেভিড সিলভা, সেস্ক ফ্যাব্রিগাসের মতো ফুটবলার, যাঁরা পাস খেলার সঙ্গে গোল আদায় করে নিতেও সিদ্ধহস্ত ছিলেন। সেই স্পেন যেমন এখন আর নেই, তেমনি এনরিকের এই দলও ভাঙা-গড়ার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে—গত বিশ্বকাপের মাত্র ছয়জন খেলোয়াড় এবার রয়েছেন স্পেনের ইউরো দলে। তবে গোল করতে না পারলে এই ইউরো যে স্পেনের ভালো কাটবে না, সে কথা এখনই বলে দেওয়া যায়। শুধু পাস খেলে তো আর ম্যাচ জেতা যায় না!
আরো কিছু পোস্ট আপনার জন্য প্রয়োজনে দেখতে পারেন
না ঘষে মিনিটের মধ্যেই কাঁঠালের বিচি পরিষ্কার করার দারুণ কৌশল
https://www.latestbangla.com/archives/2946
সুস্থ থাকতে ও নমনীয় ত্বক পেতে নাভির যত্ন নিন
https://www.latestbangla.com/archives/2951
চুলের সঠিক যত্ন নিতে শ্যাম্পু করার আগে মাথায় নারকেল তেলের মালিশ
https://www.latestbangla.com/archives/2957
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। প্রতিদিনের আপডেট পেতে আমাদের Facebook লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন।